মৌমাছির চাকে ঢিল না মারলে তারা কারও সমস্যা করেনা। কিন্তু মৌমাছির চাক কোনওভাবে আঘাত পেলে মৌমাছিরাও ছেড়ে কথা বলেনা। কিন্তু এবার মৌমাছির চাক ভাঙল কেউ আর মৌমাছিরা শাস্তি দিল কাউকে! স্কুলের কাছেই একটি পার্কে স্কুলের ৬০ জন ছাত্র ও তাদের কয়েকজন অভিভাবক মিলে পিকনিক করছিলেন শনিবার। সকাল থেকেই পিকনিকের মুডে ছিলেন সকলে। ছাত্ররাও পড়ার বাইরে একটা দিন পেয়ে সকাল থেকেই খুশিতে মাতোয়ারা। কিন্তু সেই খুশি কিছুক্ষণের মধ্যেই উধাও হয়ে গেল। ৬০ জন ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল। সঙ্গে তাদের কয়েকজন অভিভাবককেও। ছাত্র ও অভিভাবকদের বেশ কয়েকজনকে হাসপাতাল ভর্তিও করে নেয়।
পুরো ঘটনায় কিন্তু ছাত্র বা অভিভাবক, কারও কোনও দোষ ছিলনা। পার্কের একটি গাছে রয়েছে মৌমাছির বিশাল চাক। সেই চাকের কিছুটা ভেঙে দেয় একটি পাখি। পাখি তো ঠুকরে দিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে চাক ভাঙায় রাগে উন্মত্তের মত চাক থেকে বেরিয়ে আসে মৌমাছির দল। তারপর ঝাঁকে ঝাঁকে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে পিকনিকরত ছাত্র ও তাদের অভিভাবকদের ওপর। একের পর এক হুল ফুটিয়ে দিতে থাকে তারা।
পার্কে তখন হৈচৈ পড়ে গেছে। ছাত্ররা আর্তনাদ করছে যন্ত্রণায়। কেউ ছুটছে, কেউ ছুটে পালাতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে। সে এক হুলস্থূল কাণ্ড। কিছুক্ষণ পর মৌমাছিরা আক্রমণ সেরে চলে যাওয়ার পর মৌমাছির হুল বিদ্ধ ছাত্র ও অভিভাবকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন হুলে আঘাত পেলেও আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। সকলেরই চিকিৎসা চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার খোয়াই এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা