মহারাষ্ট্রে রাতারাতি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এনসিপি-র অজিত পাওয়ারের কাঁধে ভর করে সরকার গড়েছে বিজেপি। কিন্তু শপথগ্রহণ করে সরকার গঠন করে রাজ্য শাসন এখনও দুরস্ত। এখনও বাকি ফ্লোর টেস্ট। বিধানসভায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়া। সেখানে কিন্তু শিবসেনাকে অনেক বেশি নিশ্চিত মনে হচ্ছে। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটই যে সরকার গড়বে এবং বিধানসভায় তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে মাত্র ১০ মিনিট লাগবে বলে দাবি করেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। সেনার দাবি, বিজেপিকে এতটা সময় দিলেন রাজ্যপাল। সেখানে তাঁদের ডাকলে তাঁরা মাত্র ১০ মিনিটে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে পারতেন।
সঞ্জয় রাউত আরও বলেন, তাঁদের হাতে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল। এখন ৫ বিধায়ক বেপাত্তা। ফলে এখন তাঁদের হাতে রয়েছে ১৬৫ জন বিধায়কের সমর্থন। রাউত বলেন, তাঁর দাবি লিখে নিতে পারেন সকলে। প্রসঙ্গত মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার। সেটাই নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা। ভোটের পর দেখা যায় বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন। শিবসেনা ৫৬টি। এনসিপি ৫৪টি। কংগ্রেস ৪৪টি। নির্দল ১৩টি।
বিজেপি অবশ্য বলছে তাদেরও এখন যথেষ্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে। এই অবস্থায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়াটাই এখন আসল লড়াই। তবে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে যে নাটক চলছে তা ভারতীয় রাজনীতির একটা অধ্যায় হয়ে থাকবে। কংগ্রেস আবার তাদের বিধায়কদের ভোপালে স্থানান্তরিত করেছে। সেখানেই তাঁদের একসঙ্গে রাখা হয়েছে। ঘোড়া কেনাবেচা আটকাতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে দল। অন্যদিকে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি শিবসেনার সঙ্গেই রয়েছেন। অজিত পাওয়ারকে ইতিমধ্যেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা