মহারাষ্ট্রের মসনদ নিয়ে এখন প্রায় চোর পুলিশ খেলা শুরু হয়েছে। গত শনিবার রাতারাতি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শপথ গ্রহণের পর বিজেপির তরফে দাবি করা হয় তাদের সঙ্গে এনসিপি রয়েছে। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করায় অনেকেই তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাতে জল ঢেলে দেন স্বয়ং শরদ পাওয়ার। জানিয়ে দেন অজিত পাওয়ারের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। তার সঙ্গে এনসিপি-র কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু ততক্ষণে এনসিপির ৫ বিধায়ক উধাও। তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। ফলে তাঁদের খোঁজ শুরু হয়েছিল।
অবশেষে খোঁজ মিলল। তবে ৫ জনের নয় ৪ জনের। ৪ বিধায়কের খোঁজ মিলল হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি হোটেলে। খবরটা পেয়ে যান এনসিপি-র সেখানকার স্থানীয় যুব নেতারা। ফলে তাঁরা ফন্দি আঁটতে শুরু করেন। কীভাবে ৪ বিধায়ককে সেখান থেকে বার করে আনা যায়। অবশেষে তাঁরাই রীতিমত পরিকল্পনা করে কাউকে ঘুণাক্ষরেও টের পেতে না দিয়ে ওই ৪ বিধায়ককে বার করে নিয়ে আসেন হোটেল থেকে। তারপর আর তাঁদের সেখানে রাখারও ঝুঁকি নেননি যুব নেতারা। ফেরত পাঠান মুম্বইতে।
কারা তাঁদের সেখানে নিয়ে গেলেন? তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল কিনা? তাঁদের গুরুগ্রামের হোটেলে কারা আটকে রেখেছিল? এসব তথ্য এখনও এনসিপি পরিস্কার করেনি। তবে এনসিপি এই ৪ বিধায়কের হদিস পেয়ে এবং তাঁদের পাশে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এনসিপি-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এঁরা ফিরে আসায় তাঁদের ৫৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৫২ জনের সমর্থন তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। ফলে একবার ফ্লোর টেস্ট হলে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট সহজেই জয়লাভ করবে বলেও দাবি করেছে তারা। প্রসঙ্গত কংগ্রেস ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে তাদের ৪৪ বিধায়ককে ভোপালে পাঠিয়ে দিয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা