প্রতিদিন শুনতে শুনতে প্রাথমিকের খুদে পড়ুয়াদেরও সহ্যের বাঁধ ভেঙে যায় একদিন। তারা সকলে গিয়ে স্কুলের অফিসঘরে অভিযোগ জানিয়ে আসে। আশা ছিল এরপর আর দিদিমণি এমনভাবে তাদের কটূকথা শোনাবেন না। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যই তাদের কাছে পরিস্কার হয়ে যায় স্কুলে বলে কোনও কাজ হবে না। শিক্ষিকা তাদের খারাপ কথা বলা চালিয়ে যাবেন। অগত্যা তারা এবার হাজির হল জেলার পুলিশ সুপারের কাছে। তিনি সব শুনে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি যে গুরুতর তাও মেনে নিয়েছেন তিনি।
স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের এমন অভিযোগের ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কতটা কটূকথা তাদের বলা হত যে ওই খুদে পড়ুয়াদেরও সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেল! উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি জেলার শঙ্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন তাই রীতিমত চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এখানে প্রধানত দলিত ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে। তাদের পড়ানোর জন্য ‘শিক্ষা মিত্র’ এক শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়েছিল। পড়ুয়াদের দাবি, ওই শিক্ষিকা আসার পর থেকেই তাদের তাঁর কাছে কটূকথা শুনতে হয়।
অভিযোগের তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে। তবে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। পড়ুয়ারা ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে অনুরোধ করেছে। তারা এও জানিয়েছে স্কুলকে বলে কিছু না হাওয়ায় বাধ্য হয়েই তাদের পুলিশের কাছে আসতে হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছেন জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার নিজে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা