অতিথি আপ্যায়নের মত বিধানভবনের মুখে নতুনদের অভ্যর্থনা জানালেন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা। যেখানে গৃহকর্তার মত দাঁড়িয়ে ছিলেন এনসিপি, কংগ্রেস, শিবসেনার সেনারা। আর এবার মহারাষ্ট্রে অনেক নতুন মুখ বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। তাঁদের আহ্বান জানালেন তাঁরা। বিধানভবনের গেটে সকাল ৭টা থেকেই এঁদের আপ্যায়ন নজর কাড়ে। নতুনদের তালিকায় রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরেও। তিনি এদিন শপথ গ্রহণের আগে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে যান।
মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের ফ্লোর টেস্টের নির্দেশ এবং তারপর অজিত পাওয়ার ও দেবেন্দ্র ফড়নবিশের ইস্তফার পর কার্যত যবনিকা পতন হয়েছে মহারাষ্ট্রের কুরসি দখলের নাটকে। তারপর বুধবার সকালেই নরিমান পয়েন্টে বিধানভবনে শপথ গ্রহণ করলেন মহারাষ্ট্রের সব বিধায়ক। ২৮৮ জন বিধায়কের মধ্যে এদিন ২৮৩ জনই শপথ নেন। ৫ জন এখনও শপথগ্রহণ করেননি। এদিন তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া শপথগ্রহণ পর্ব চলে প্রায় দুপুর পর্যন্ত।
শপথগ্রহণ পর্বের আগের দৃশ্যটাই ছিল সবচেয়ে চমকে দেওয়ার মত। এদিন বিধানভবনের গেটে যে কজন পুরনো নেতা দাঁড়িয়ে ছিলেন সকল বিধায়ককে স্বাগত জানানোর জন্য তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে মুখ্য ভাগে ছিলেন এনসিপি নেত্রী তথা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। দল নির্বিশেষে সকল বিধায়ককে হাত জোড় করে হাসি মুখে স্বাগত জানান তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে তাঁর সঙ্গে হাসি আদানপ্রদান করতে দেখা যায়। সৌজন্যের সুন্দর এক দৃষ্টান্ত উঠে আসে।
আবার তুতোভাই অজিত পাওয়ার আসতে সুপ্রিয়া সুলে প্রথমে তাঁর সঙ্গে হাসিমুখে করমর্দন করেন। তারপর অজিত জড়িয়ে ধরেন বোনকে। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতাদের প্রতি সুপ্রিয়া সুলেকে যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করতেও দেখা যায়। প্রসঙ্গত এদিন বিকেলে মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল শপথবাক্য পাঠ করাবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলা উদ্ধব ঠাকরেকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা