National

স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত, স্বামীর সন্দেহের কোপে শেষ পরিবারের ৫ সদস্য

একটা গোটা পরিবার শেষ হয়ে গেল। তাও নিছক একজনের সন্দেহের বশে। স্বামীর সন্দেহ ছিল তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। সেই সন্দেহ করুণ পরিণতি ডেকে আনল গোটা পরিবারের জন্য। গঙ্গু দাসের বয়স ৩০ বছর। তার খালি মনে হত তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য একজনের দৈহিক সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে তার সঙ্গে তার স্ত্রীর বেশ কয়েকবার ঝগড়াও হয়েছে।

পুলিশ জানাচ্ছে, গঙ্গু দাস গত মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি ফিরেই তার স্ত্রী শিলা দেবীর সঙ্গে এই নিয়ে ঝগড়া শুরু করে। ২৭ বছরের শিলা দেবী সন্তানসম্ভবা। তিনি ৮ মাসের সন্তানসম্ভবা। যে কোনও সময়ে তাঁর প্রসব যন্ত্রণা উঠতে পারে। এই অবস্থায় তাঁকে এভাবে স্বামীর সন্দেহের শিকার হতে দেখে এগিয়ে আসেন গঙ্গুর মা ৬০ বছরের শান্তি। তিনিও ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। জড়ো হয়ে যান বাড়ির বাকি সদস্যরাও।


পুলিশ জানাচ্ছে, এই সময় গঙ্গু একটা পড়ে থাকা লোহার রড হাতে তুলে নেয়। তারপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তা বসিয়ে দেয় স্ত্রীর মাথায়। সেখানেই শেষ নয়, সময় নষ্ট না করে ওই রডই ঘুরিয়ে এবার সে বসায় তার মায়ের মাথায়, তারপর মেয়ে ৬ বছরের রাধিকা কুমারী ও ২ বছরের ছেলে পীযূষ কুমারের মাথায়। ওখানে তখন উপস্থিত ছিলেন গঙ্গুর ২ তুতো বোনও। তাঁদেরও রেহাই দেয়নি গঙ্গু। তাঁরাও গঙ্গুর রডের বাড়ি খান। ১ তুতো বোন ছাড়া বাকি ৫ জনেরই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। পুলিশ পড়শিদের কাছে খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয়। তারপর এই ঘটনা ঘটিয়ে বাড়িতেই একটি ঘরে নিজেকে বন্দি করে ফেলা গঙ্গুকে বার করে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানাচ্ছে, গঙ্গুর মানসিক ভারসাম্যের একটু সমস্যা রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button