রয়েছে ৬ বছরের ছেলে। সেই ছেলে নিয়েই ছিল মা হিনার সংসার। সম্প্রতি তিনি রাম সাওরে যাদবকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে ছেলের নামও বদলে দেন হিনা। তাঁর প্রথম স্বামীর ওই ৬ বছরের বালকের নাম ছিল ফরিদ। কিন্তু প্রথম পক্ষের স্বামীর দেওয়া নাম নাপসন্দ ছিল রাম সাওরের। ফলে হিনা স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখতে ছেলের নাম রাম সাওরের পছন্দমত সূরজ রাখেন। কিন্তু তাতেও ছেলেকে নিয়ে সমস্যা মেটেনি। রাম সাওরে কিছুতেই ওই বালককে মেনে নিতে পারছিলনা।
পুলিশ জানাচ্ছে, গত ১৯ নভেম্বর রাম সাওরে যাদব ও তার ভাই নান্নে মিলে সূরজকে হত্যা করে। তারপর তার দেহটি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ফেলে। পরে সেই দেহাংশ জনপ্রাণিহীন জায়গায় ফেলে আসে। এদিকে ওই বালককে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। রাম সাওরেও রটিয়ে দেয় যে ওই বালক কোথাও পালিয়ে গিয়েছে। প্রতিবেশিদের কিন্তু সন্দেহ জাগে। তাঁরা বুঝতে পারেন কোথাও কিছু গণ্ডগোল করেছে রাম সাওরেই। তাঁরা রাম সাওরের বিরুদ্ধে পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ সেই খবরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় রাম সাওরে যাদব ও তার ভাই নান্নেকে। তাদের চেপে ধরতেই তারা পুলিশের কাছে এই হত্যার কথা স্বীকার করে। বালকের দেহাংশ কোথায় ফেলা হয়েছিল তাও দেখিয়ে দেয়। পুলিশ সেখান থেকে দেহাংশ উদ্ধার করে। তদন্তের স্বার্থে হিনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা