গত অক্টোবরের কথা। ওইদিন স্কুল ছিলনা। এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি ছিল। সেই উপলক্ষে কালকাজি-র একটি পাবে সব বন্ধু মিলে পার্টি চলছিল। সেই পার্টির একটি ভিডিও তাদেরই এক বন্ধু সোশ্যাল সাইটে তুলে দেয়। সেখানে দেখা যায় পার্টিতে উপস্থিত অধিকাংশ কিশোর হুঁকো টানছে। সেই ভিডিওতে দিল্লির কালকা পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রও ছিল। এদিকে ভিডিওটি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তারপরই তাকে ক্লাস করা থেকে সাসপেন্ড করে স্কুল। জানিয়ে দেয় তাকে পরীক্ষাতেও বসতে দেওয়া হবে না।
পরীক্ষা ছিল ১১ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সেই পরীক্ষায় স্কুলের অনুমতি না থাকায় বসতে পারেনি ওই ছাত্র। ১৮ অক্টোবর তার বাবা-মাকে ডেকে স্কুল জানিয়ে দেয় তাঁরা যেন তাঁদের ছেলেকে এই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। যদিও তাতে রাজি হননি তাঁরা। বরং তাঁরা জানান তাঁরা কথা দিচ্ছেন তাঁদের ছেলে আর এমন কাজ করবেনা। এরপর ওই ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হলেও তাকে আর ক্লাস করতে দিচ্ছেনা স্কুল।
এভাবে চলতে থাকায় এবার ক্লাস করার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল ওই ছাত্র। এক সপ্তাহ হয়েছে আইনজীবী মারফত দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ছাত্র। সে স্কুল করতে চায় বলে জানিয়েছে ওই ছাত্র। এখন সে চাইছে আদালত যেন তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগের বন্দোবস্ত করে দেয়। এমনকি আদালতে এও দাবি করা হয়েছে যে সে ছাড়া ওই পার্টিতে থাকা তার অন্য সব বন্ধুকে স্কুলে ক্লাস করতে বাধা দিচ্ছেনা স্কুল কর্তৃপক্ষ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা