লোকসভায় দাঁড়িয়ে মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসে-কে দেশভক্ত বলে ব্যাখ্যা করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ভোপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে। বিরোধী কংগ্রেস তো বটেই, এমনকি নিজের দলেও শাস্তির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ঘরে বাইরে এমন প্রবল চাপে অবশেষে নিজের অবস্থান থেকে পিছু হটলেন বিজেপি সাংসদ। শুক্রবার লোকসভায় তিনি জানান তাঁর কথা যদি কারও ভাবাবেগকে আঘাত করে থাকা তাহলে তিনি অনুতপ্ত এবং ক্ষমা প্রার্থী। তবে ভাঙলেও মচকালেন না সাধ্বী প্রজ্ঞা।
সাধ্বী প্রজ্ঞা ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি এও দাবি করেন লোকসভায় বলা তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রজ্ঞার মতে, যেভাবে তাঁর বক্তব্যকে পেশ করা হয়েছে তা নিন্দনীয়। মহাত্মা গান্ধী দেশের জন্য অনেককিছু করেছেন। গান্ধীজির প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। বিরোধীরাই তাঁর বক্তব্যের অন্য মানে করেছে বলে বোঝাতে চান সাধ্বী। এদিন তিনি পাল্টা আক্রমণ হেনেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও। তবে নাম করেননি।
লোকসভায় এদিন ক্ষমা চাওয়ার পর প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর জানান, তাঁকে এক সাংসদ সন্ত্রাসবাদী বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু কোনও আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে এমন কিছু প্রমাণ হয়নি। সন্ত্রাসবাদী হওয়ার কোনও প্রমাণ তাঁর বিরুদ্ধে নেই। সেক্ষেত্রে একজন সিনিয়র সাংসদ যেভাবে তাঁকে সন্ত্রাসবাদী বলেছেন তা বেআইনি। একজন মহিলা হিসাবে তাঁকে অপমান করা হয়েছে বলেও দাবি করেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। প্রসঙ্গত সাধ্বী প্রজ্ঞা নাথুরাম গডসে-কে দেশভক্ত বলার পর রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে বলেন একজন সন্ত্রাসবাদী আর একজন সন্ত্রাসবাদীকে দেশভক্ত বলছেন।
শুক্রবার লোকসভায় হিন্দিতে এই ক্ষমা চাওয়াও বিরোধীরা সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা দাবি করেন নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে সাধ্বী প্রজ্ঞাকে। অন্যদিকে সংসদীয় মন্ত্রী বলেন, সাধ্বী প্রজ্ঞা ক্ষমা চেয়েছেন। তারপরও এমনভাবে চিৎকার চেঁচামেচির বিরোধিতা করেন তিনি। এদিকে নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলাকে কেন্দ্র করে যুব কংগ্রেসের তরফে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা