একই দিনে এক জায়গায় বাঘের হানা, আর অন্যত্র লেপার্ডের। ২ ক্ষেত্রে বাঘের হানা। মৃত্যু হল এক ৩০ বছর বয়স্ক কৃষকের। আর অন্যক্ষেত্রে লেপার্ডের থাবায় শেষ হল এক মহিলার জীবন। প্রথম ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে। লখিমপুরের বলরাজপুর গ্রামে মাঠে কাজ করছিলেন কৃষক সুরজিৎ সিং। দুধওয়া ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের গায়েই এই গ্রাম। এখানে আচমকাই মাঠে কাজ করার সময় হানা দেয় বাঘ। ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই কৃষকের ওপর। তারপর ওই কৃষকের দেহ টেনে নিয়ে যায় জঙ্গলের মধ্যে। এই ঘটনা গ্রামের একজনের নজরেও পড়ে। তিনি দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর অবশেষে সুরজিৎ সিংয়ের আধ খাওয়া দেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়।
এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তাঁরা আশ্বাস দেন বাঘের গতিবিধি নজরে রাখার জন্য গ্রামে ক্যামেরা বসানো হবে। মৃত কৃষকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বিজনৌর জেলায়। এখানে এক ৪৫ বছরের মহিলা লেপার্ডের হানার শিকার হন। পুলিশ জানাচ্ছে, সামালা বিবি নামে ওই মহিলা তাঁর মেয়ে ও ২ ননদকে নিয়ে একটি আখের ক্ষেতে কাজ করছিলেন। তখনই লেপার্ডটি হানা দেয়।
বিজনৌরের নওয়াদা গ্রামের বাসিন্দা সামালা বিবির মেয়ে পুলিশকে জানিয়েছেন যখন তাঁর মা ক্ষেতে কাজ করছিলেন তখন আচমকাই তাঁর ওপর হামলা চালায় লেপার্ড। তাঁর মা চিৎকার করতে থাকেন। তাঁরাও চেঁচান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু সবাই এসে পৌঁছতে পৌঁছতে সব শেষ। তাঁর মাকে মেরে পালিয়ে যায় লেপার্ড। যদিও এই ঘটনায় বন দফতর কিন্তু অন্য কিছু সন্দেহ করছে। তাদের দাবি, ওই মহিলার দেহের চারপাশে বহুদূর পর্যন্ত লেপার্ডের পায়ের ছাপ মেলেনি। ফলে এই মৃত্যু লেপার্ড হানাতেই কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা