শনিবার ভোর রাত। রাতের রাস্তা যথেষ্ট ফাঁকা। ফাঁকা রাস্তা দিয়ে ছুটে যাচ্ছিল একটি মিনিবাস। বাসের যাত্রী সংখ্যা ছিল ২৬ জন। ঠিকা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার মিলিয়ে এই ২৬ জন যাত্রীকে নিয়ে বাসটি একসময় বোরি নদীর ওপর ব্রিজ ধরে। ব্রিজের ওপরও বাসটি যথেষ্ট গতিতে ছিল। একসময়ে ব্রিজের ওপরই চালক বাসটির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। রাস্তা ছেড়ে যাত্রীদের নিয়ে বাসটি প্রবল গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে ব্রিজের রেলিংয়ে। তারপর রেলিং ভেঙে সোজা গিয়ে পড়ে বোরি নদীর গভীর জলে।
বাসটি গতিতে নদীর জলে তলিয়ে গিয়ে সোজা ধাক্কা মারে নদীর তলদেশের পাথুরে জমিতে। এভাবে একটি বাস ব্রিজ ভেঙে জলের ওপর পড়ল। ফলে একটা জোড়াল আওয়াজ তৈরি হয়। সেইসঙ্গে যাত্রীদের আর্ত চিৎকার ছিল। সেইসব শব্দ কানে যেতে ভোর রাতেই গ্রামবাসীরা আশপাশ থেকে ছুটে আসেন। তারপর তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে। কয়েকজন যাত্রী কোনওক্রমে বাস থেকে বেরিয়ে আসেন।
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ধুলে-ওসমানাবাদ হাইওয়ের ওপর। তবে শ্রমিকরা সকলেই আসছিলেন মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলার ধৌলিগিরি থেকে। ওসমানাবাদে একটি সাইটে কাজ চলছে। সেখানেই যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। ঘটনাটি ঠিক কীভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঠিকা শ্রমিকদের কনট্রাক্টরকে খুঁজছে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা