গত বুধবার রাতে এক তরুণী পশু চিকিৎসকের স্কুটার খারাপ হয়ে যায় রাস্তায়। তাঁকে সাহায্য করার নামে কয়েকজন তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। লরির ড্রাইভার, খালাসিরা এর পিছনে রয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ। ওই তরুণীকে কেবল গণধর্ষণই করা হয়নি, তারপর তাঁকে নিয়ে গিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে তরুণীর পোড়া দেহ পায় পুলিশ। এই ঘটনা ফের নির্ভয়া কাণ্ডের সেই ভয়ংকর স্মৃতি উস্কে দিল। প্রমাণ করল এ দেশের অন্যতম শহরগুলিতেও সুরক্ষিত নন মহিলারা।
এভাবে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্রমশ পারদ চড়ছে হায়দরাবাদ শহরে। ক্রমশ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। এই ঘটনার পর মহিলা সুরক্ষায় প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় চাপাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার হায়দরাবাদ শহরে প্রবল বিক্ষোভ সামলাতে নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। বহু মানুষের ভিড়, ক্ষোভ, প্রতিবাদের আঁচ যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা এদিন বোঝা গেছে। কার্যত হায়দরাবাদ এই ঘটনায় উত্তাল।
তরুণীকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে ২ লরি চালক ও ২ খালাসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আর কারা যুক্ত তা জানার চেষ্টা চলছে। কিন্তু গ্রেফতারির পরও মানুষের ক্ষোভ কিন্তু থামছে না। হায়দরাবাদ তো বটেই, এমনকি দিল্লিতেও এদিন এক তরুণী এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে একাই সংসদ ভবনের সামনে ধর্নায় বসেন। পরে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা