প্রত্যেকদিনের অশান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে ৭ বছর আগেই তার বাবাকে ছেড়ে চলে যান মা। কিন্তু মেয়ে বাবাকে ছেড়ে যেতে চায়নি। হয়তো ১৭ বছর বয়সে এসে সেজন্য আফসোসের সীমা নেই তার। মা চলে গেলেও বাবার সঙ্গেই থাকত সে। গুটিগুটি পায়ে এখন তার বয়স ১৭ বছর। সম্প্রতি তার নজরে পড়ে যায় যে তাদেরই পরিবারের অন্য এক মহিলার সঙ্গে তার বাবা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত। সেই দৃশ্য দেখে ফেলাটাই হয়তো কাল হল তার জন্য।
মেয়ে তার এমন এক কাণ্ড দেখে ফেলেছে। ফলে তাকে আর মুক্তি দেয়নি তার বাবা। মেয়েকে লোহার চেন দিয়ে বেঁধে ফেলে সে। তারপর একটি ঘরে বন্দি করে রাখে। শুধু চেন দিয়ে বেঁধে রাখাই নয়, এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই মেয়েকে ধর্ষণ করতে থাকে সে। লোহার শিকলে বাঁধা। তারমধ্যে বাবার হাতে প্রতিদিন ধর্ষিত হতে হচ্ছে। এ যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিলনা কিশোরী মেয়েটি।
এরমধ্যেই একদিন একটু সুযোগ পেয়ে যায় সে। পালানোর সুযোগ। কিন্তু শিকল খোলার উপায় নেই। তাই শিকল পরেই কোনওক্রমে ওখান থেকে পালিয়ে সে চলে আসে তার মামার খেতজমিতে। সেখানে তখন চাষে ব্যস্ত ছিলেন মামা। তাঁকে সব কথা খুলে বলে ওই কিশোরী। সব শুনে মামাই গিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জালোর জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা