বাবা, মা, পরিবারের সকলের অমতে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন। মাত্র ২০ দিন হল বিয়ে হয়েছে তাঁর। সদ্যবিবাহিতা হিসাবে হয়তো অনেক স্বপ্ন চোখে লেগে ছিল। কিন্তু সে সুযোগ তাঁর হল না। মৃত্যু হল তাঁর। কীভাবে মৃত্যু? কে হত্যা করল? কেন এমন পরিণতি? কিছুই পরিস্কার নয়। ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। গত মঙ্গলবার রাতে খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ধনী পরিবারের মেয়ে অন্নপূর্ণা পূর্ণিমা কাজ করতেন হায়দরাবাদের একটি বহুজাতিক সংস্থায়। তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত। তাঁর সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে দাসারি কার্তিক-এর। দুজনে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেন। ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে অন্নপূর্ণার এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি তাঁর পরিবার। ফলে অন্নপূর্ণা-কার্তিক দুজনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন। তারপর রামারাও নগরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন।
রামারাও নগরের সেই ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকেই সদ্যবিবাহিত তরুণী অন্নপূর্ণার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতার বাড়ির লোকজনের দাবি কার্তিকই তাঁদের মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। যদিও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কার্তিককে গ্রেফতার করেনি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে যাবতীয় সম্ভাবনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তদন্ত আরও গতি পাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা