নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪ অভিযুক্ত পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এই অবস্থায় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে বাধ্য হয়। আর তাতেই মৃত্যু হয় হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ অভিযুক্ত যুবকের। এই ঘটনার পর অবশ্য ওই তরুণীর বাবা-মা খুশি হয়েছেন। খুশি হয়েছেন নির্ভয়ার পরিবারও। খুশি গোটা দেশও। সকলেই বলছেন যা হয়েছে ঠিক হয়েছে।
ঘটনার ১০ দিনের মাথায় শুক্রবার রাত ৩টের সময় ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর আন্ডারপাসে যেখানে ওই তরুণীকে পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে, সেখানে নামার পর অভিযুক্তেরা আচমকাই পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আর তাতেই পুলিশ গুলি চালায়। ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকায় প্রবল ভিড় জমে যায়। পুলিশি তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মত।
কদিন আগেই সংসদে দাঁড়িয়ে সাংসদ জয়া বচ্চন হায়দরাবাদ কাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন ধর্ষকদের আইন আদালত নয়, জনগণের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এদের গণধোলাইতে মৃত্যু হওয়া উচিত। অন্তত তেমনই একটা ঘটনা ঘটল। অনেকেই মনে করছেন ৪ ধর্ষকের এভাবে এনকাউন্টারে মৃত্যু একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করল। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি অনেকদিন ধরেই উঠছিল। এদিন পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু তেমনই একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা