হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে হত্যা করে তারপর তাঁকে পুড়িয়ে দেওয়ার মত শিউরে দেওয়া ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের শাস্তি চাইছিল গোটা দেশ। অনেকেই চাইছিলেন তাদের চরম শাস্তি হোক। কিন্তু দেশে যখন আইন রয়েছে তখন সে শাস্তি দানের অধিকার আইনের। অনেকেই তাই মনে করছেন যেভাবে পুলিশ ৪ অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করেছে তা সঠিক পদ্ধতি নয়। পুলিশ আইন হাতে তুলে নিতে পারেনা। এজন্য আদালত রয়েছে। কিন্তু পুলিশ তো পরিস্কার দাবি করেছে ওই অভিযুক্তেরা পালানোর চেষ্টা করছিল। তাও তাদের বন্দুক কেড়ে। সেক্ষেত্রে নিজেদের বাঁচাতেই বাধ্য হয়ে তাদের গুলি করতে হয়েছে ওখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের। যদিও সেই বিষয়ে আমল দিতে রাজি নন অনেকে। বরং এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছেন তাঁরা।
যদিও এই এনকাউন্টারের পর তেলেঙ্গানা জুড়ে পুলিশকে মাথায় তুলে নেচেছেন মানুষজন। মহিলারা রাখি পরিয়েছেন। মিষ্টি খাইয়েছেন। বাজি পুড়িয়ে আনন্দ হয়েছে। এমনকি সাইনা নেহওয়ালের মত খেলোয়াড় থেকে ঋষি কাপুর, অনুপম খেরের মত অভিনেতারাও হায়দরাবাদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের এভাবে গুলি করে মারার প্রশংসা করেছেন। পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা এভাবে এনকাউন্টারে ৪ জনের মৃত্যুর পর বারবার একটাই কথা বলার চেষ্টা করেছেন, দেশে সংবিধান রয়েছে, আইন রয়েছে। আইনকে আইনের কাজ করতে দিতে হবে।
অভিযোগ রয়েছে ওই ৪ অভিযুক্তের পরিবারেরও। তাঁরাও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওই ৪ জনের যদি আদালত শাস্তি দিত তাতে তাঁদের কিছু বলার ছিলনা। কিন্তু এভাবে কেন হত্যা করা হল সে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের ১ জনের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। তিনি ক্ষোভ উগরে জানিয়েছেন এভাবে তাঁকে পুলিশ গুলি করে মেরে দিক। ফলে একদিকে পুলিশের এই এনকাউন্টারের ভূয়সী প্রশংসা পুলিশকেও কখনও কখনও অপ্রস্তুতে ফেলে দিচ্ছে, অন্যদিকে কেউ কেউ আদালতের শাস্তির ওপর ভরসা করা উচিত ছিল বলে দাবি করছেন। যদিও পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে তাদের আত্মরক্ষায় গুলি চালাতেই হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা