আমায় বাঁচান। আমি মরতে চাইনা। আমি ওদের ফাঁসি দেখতে চাই। এটাই ছিল চিকিৎসক ও পরিবারের কাছে উন্নাওয়ের ২৩ বছরের তরুণীর শেষ আর্তি। গত শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। সেই তরুণী যাঁকে ধর্ষণ করে ২ জন। পরে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ মামলা দায়ের করে। গত ৪ ডিসেম্বর ২ অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পায়। আর তার ঠিক পরদিন ওই তরুণী যখন তাঁর সঙ্গে হওয়া ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষ্য দিতে আদালতে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর পথ আটকায় ২ জন। ওই ২ জনের সঙ্গে আরও ৩ যুবক ছিল।
পথ আটকে ওই তরুণীর সঙ্গে তর্ক জোড়ে ২ অভিযুক্ত। তারপর তারা ও তাদের ৩ বন্ধু ওই তরুণীকে টেনে নিয়ে যায় রাস্তার ধারে। সেখানে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। একটি আগুনের বলের মত জ্বলতে জ্বলতে চিৎকার করতে থাকেন তরুণী। গ্রামবাসীরা দ্রুত ছুটে আসেন। আগুন নেভানো হয়। পুলিশ দ্রুত তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে লখনউয়ের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় লখনউ হাসপাতাল থেকে পরে তাঁকে নিয়ে আসা হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষতে থাকেন ওই তরুণী। তিনি কিন্তু ওই অবস্থাতেও পুলিশকে জানান তাঁর সঙ্গে কারা এমন কাণ্ড ঘটাল। সেইমত জামিনে ছাড়া পাওয়া অভিযুক্তদের ফের গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের সঙ্গীদেরও গ্রেফতার করা হয়। গত শুক্রবার তরুণীর অবস্থার অবনতি হয়। সে সময় ওই অবস্থায়ও তিনি চিকিৎসক ও পরিবারের লোকজনকে জানান তিনি দোষীদের ফাঁসি দেখে যেতে চান। আর তা দেখার জন্য তাঁকে বাঁচানোর আর্তি জানান তিনি। যদিও চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা