প্রথম দফার নির্বাচন টুকটাক অশান্তির মধ্যে কাটলেও ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা রীতিমত রক্তক্ষয়ী। শনিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দফায় ২০টি আসনে নির্বাচন শুরু হয়। ভোটদানে উৎসাহও ছিল যথেষ্ট। সকাল থেকেই অনেক বুথে লম্বা লাইন নজর কাড়ে। এমনই একটি বুথে এদিন ভোটার ও পুলিশের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। গুমলা জেলার সিসাই কেন্দ্রের ৩৬ নম্বর বুথে লম্বা লাইন পড়ে ভোটারদের। ভোটগ্রহণে অস্বাভাবিক দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ জানাতে শুরু করেন ভোটাররা। চড়তে শুরু করে পারদ।
একসময়ে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। ভোটাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবর্ষণ শুরু করেন। পাল্টা পুলিশ গুলি চালায়। মহম্মদ গিলানি নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ গুলি চালানোয় প্রবল ক্ষোভ জমে ভোটারদের মধ্যে। অন্যদিকে ভোটারদের পাথরবর্ষণে ৩ পুলিশকর্মী আহত হন। ঘটনার জেরে উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে ওই বুথে। ভোটগ্রহণেও তার প্রভাব পড়ে। কেন এমন ঘটনা ঘটল তা জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সিসাইয়ের এই ঘটনার পাশাপাশি এদিন মাওবাদীরাও হামলা চালায়। ভোট বানচাল করার চেষ্টা মাওবাদীরা করছিল। প্রথম দফাতেও তারা একটি বাস আটকে দেয়। এদিন ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলায় জোজোহাতু এলাকায় বুথমুখী একটি বাসকে মাঝপথে দাঁড় করায় মাওবাদী গেরিলারা। তারপর সেটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশ এলেও ততক্ষণে গা ঢাকা দেয় মাওবাদীরা। এর বাইরে টুকটাক ঘটনা বাদ দিলে ঝাড়খণ্ডের ২০টি আসনে নির্বাচন মোটামুটি শান্তিতেই চলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা