উন্নাওয়ের তরুণীর সঙ্গে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ২ অভিযুক্ত জামিনে মুক্তও হয়। অথচ উন্নাওয়ের তরুণীকে পুলিশ কোনও সুরক্ষা দেয়নি। তাঁর সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা প্রশাসন করেনি। কেন তিনি সেই সুরক্ষা পেলেন না? সে প্রশ্ন তুলে উন্নাওয়ের তরুণীর মৃত্যুর পরদিন শনিবার সোচ্চার হলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। শুক্রবার রাতেই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৯০ শতাংশ দগ্ধ ওই তরুণীর। তারপর শনিবারই ওই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁদের বাড়িতে ছুটে যান প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা ট্যুইট করে বলেন, এটা সকলের ব্যর্থতা যে ওই তরুণীকে ন্যায় বিচার দেওয়া গেলনা। সামাজিকভাবে তাই সকলেই দোষী। আর এই পরিণতি বুঝিয়ে দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার কতটা বেহাল দশা। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন যে কেন ওই তরুণী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে এলে তাঁর রিপোর্ট নেওয়া হয়নি? যে পুলিশ আধিকারিক তাঁর এফআইআর নিতে চাননি তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে? প্রতিদিন উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের ওপর একের পর এক অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসার পরও রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ বলে দাবি করেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে কংগ্রেস যেমন উন্নাওয়ের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে, তেমনই বসে নেই সমাজবাদী পার্টি। সপা প্রধান তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব এদিন উন্নাওয়ের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সামনে ধর্নায় বসেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর দলের অন্য নেতারাও ছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা