হায়দরাবাদ ও উন্নাওয়ের ঘটনায় যখন গোটা দেশ রাগে ফুঁসছে, তখনই ফের ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের ঘটনা সামনে এল। এবার অকুস্থল ত্রিপুরার শান্তির বাজার। দেড় মাস আগে এখানকার বাসিন্দা অজয় রুদ্র পাল খোয়াই জেলার কল্যাণপুরের বাসিন্দা এক ১৭ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে আসে। অভিযোগ তার বাড়িতেই ওই কিশোরীকে বন্দি করে রাখে সে। এই কাজে তাকে সাহায্য করে তার মা। তারপর সেখানে দিনের পর দিন কিশোরী অজয়ের ধর্ষণের শিকার হয়। দেড় মাস ধরে এমন চলার পর কিশোরীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে অজয় ও তার মা আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালেই ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজনের হাতে প্রহৃত হয় অজয় ও তার মা। পরে ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগে অজয় ও তার মা অনিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বছর ২৫-এর অজয়ের এক আত্মীয়ের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিবারের একজনের বিয়ে হয়। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানেই ২ জনের প্রথম দেখা হয়। তারপর তাদের মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, মাস দেড়েক আগে আচমকাই একদিন ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অজয়। তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরীর পরিবারে ফোন করে অজয় জানায় সে ওই কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি আছে, তবে পণ বাবদ তাকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। অগত্যা কিশোরীর পরিবার তাতেই রাজি হয়। কিন্তু জানায় একসঙ্গে টাকা দিতে পারবেনা। ভেঙে ভেঙে দেবে।
ততদিনে মাস দেড়েক অবশ্য কেটে গেছে। ওই কিশোরীও দেড় মাস ধরে অজয়ের ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অজয় খেপে খেপে টাকা মেটানোর শর্তেই বিয়েতে রাজি হলেও তার মা বেঁকে বসে। মায়েয় সঙ্গে এ নিয়ে ঝগড়াও হয় অজয়ের। পরে সে ও তার মা মিলে কিশোরীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই কিশোরী মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে পুরো ঘটনা জানিয়ে গিয়েছে পুলিশকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা