উন্নাওয়ে এক ধর্ষণের শিকার তরুণীকে জামিনে মুক্ত অভিযুক্তেরা যেভাবে রাস্তার ওপর জ্বালিয়ে দিয়েছে তাতে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। দোষীদের কঠোরতম শাস্তি চাইছে দেশ। হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর হত্যা করে তারপর তাঁকে জ্বালিয়ে দেওয়ার পর গ্রেফতার ৪ অভিযুক্ত পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত। কিন্তু ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে কী? উত্তর অবশ্যই হচ্ছেনা। কারণ একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেই চলেছে। এবার কানপুরে এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানির শিকার হতে হল।
অভিযুক্তেরা তার শ্লীলতাহানির পর হুমকিও দেয়। এই ঘটনার কথা পুলিশকে জানালে ওই কিশোরীরও হাল উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মত হবে বলে হুমকি দেয় তারা। পরে ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে সব খুলে বললে বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে পুলিশ স্টেশনে হাজির হন। সেখানেও হাজির হয় অভিযুক্তদের মধ্যে দীপক নামে এক যুবক। ওই কিশোরীর দাবি, পুলিশের সামনেই তাকে ও তার পরিবারের সকলকে হুমকি দেয় যে পুলিশে অভিযোগ জমা পড়লে উন্নাওয়ের মত হাল হবে। কিশোরীর অভিযোগ সব দেখেও পুলিশ কিছু করেনি।
ওই কিশোরী জানিয়েছে, দীপক ও তার বন্ধুরা পথ আটকে তার শ্লীলতাহানি শুরু করে। পরে তাকে হিঁচড়ে টেনে একটা খালি বাড়ির মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। ওই অবস্থায় কিশোরী প্রবল চিৎকার করতে থাকে। ফলে দ্রুত স্থানীয়রা সেখানে হাজির হয়ে যান। ফলে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পায় ওই কিশোরী। পরে পুলিশ অবশ্য তার অভিযোগ গ্রহণ করেছে। যদিও অভিযুক্ত দীপকও ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা