গত ২৩ নভেম্বর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রবল ঝগড়া বাধে। ২১ বছরের তরুণী গৃহবধূ ও তাঁর ২৭ বছরের স্বামীর এই ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ভারতে বেআইনি হলেও স্বামী তিন তালাক দেয় স্ত্রীকে। এর কিছুদিন পর স্বামীর মনে হয় তার ভুল ছিল। তাই সে চায় স্ত্রীকে ফের ফিরিয়ে আনতে। এবার যখন সে স্ত্রীকে ফেরাতে যায় তখন মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসে আনোয়ার বাবা নামে বছর ৫০-এর এক ব্যক্তি।
বিয়ের সময় মেয়ের হাত বরের হাতে তুলে দেন একজন। এদের বিয়ের সময় এই আনোয়ার বাবাই ওই তরুণীর হাত বরের হাতে তুলে দিয়েছিল। তিন তালাকের পরও মেয়েকে ফেরত আনতে যাওয়ায় স্বামীকে সে জানায় এভাবে মেয়েকে ফেরত পাওয়া যাবেনা। তারজন্য ‘হালালা’ নামক একটি রীতি পালন করতে হবে। এই নিয়ম অনুযায়ী ওই তরুণীকে তার সঙ্গে একটি দিন শুতে হবে। তারপরই সে তার স্বামীর কাছে ফেরত যেতে পারবে।
নিয়ম মানার নামে এরপর ওই তরুণীকে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আনোয়ার বাবা নামে ওই ব্যক্তি। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী যখন ওই অবস্থায় স্বামীর কাছে ফিরে আসেন তখন আবার স্বামী তাঁকে ঘরে নিতে চায়নি। তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেয়। স্বামী বার করে দেওয়ার পর ওই তরুণী সোজা পুলিশ স্টেশনে হাজির হয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। পুলিশ তাঁর স্বামী ও ওই তান্ত্রিক আনোয়ার বাবাকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জাহাঙ্গীরাবাদ এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা