প্রহর গোনা শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবার। আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল, কারণ এটাই পরিস্কার হচ্ছিল না প্যান্থারটা কোথায় লুকিয়ে আছে। অত বড় প্যান্থার যদি আচমকা কারও ওপর হামলা করে তবে তাঁর প্রাণহানি হতেই পারে। প্রাণহানি না হলেও এক বনকর্মী প্যান্থারটিকে খোঁজার সময় তার আচমকা আক্রমণের শিকার হন। প্রাণে বাঁচলেও প্যান্থারের হামলায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এদিকে বনকর্মীরা তন্নতন্ন করে খুঁজেও তার দেখা পাচ্ছিলেন না। আর যতই দেখা পাচ্ছিলেন না ততই সাধারণ মানুষের জন্য আশঙ্কার মেঘ কালো হচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার প্যান্থারটিকে প্রথম দেখা যায় রাজস্থানের জয়পুরের একটি স্কুলে। তাকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। রাতে খুবই মুশকিল ছিল তাকে ধরা। ফলে শুক্রবার ভোর থেকে প্যান্থারের খোঁজ জোরদার করা হয়। ভোরে সেটিকে প্রথম এসএমএস স্কুলের কাছে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর উধাও। ফের সেটিকে দেখতে পাওয়া যায় লালকোঠি এলাকায়। সেখানেই অবশেষে তাকে ঘুম পাড়ানি বন্দুকে কাবু করেন বন দফতরের কর্মীরা। তারপর তাকে পাকড়াও করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকায় প্যান্থারের খোঁজ পাওয়ার পরই পুলিশের তরফে স্থানীয়দের সতর্ক করা হয় রাতে তাঁরা যেন বাড়ির দরজা, জানালা না খুলে রাখেন। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন ঝালানা জঙ্গল থেকেই প্যান্থারটি কোনও কারণে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সেটিকে বৃহস্পতিবার দেখা গেলেও প্যান্থারটি সম্ভবত বুধবার রাতেই লোকালয়ে প্রবেশ করে ঘাপটি মেরে থাকে বলে মনে করছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা