হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর তাঁকে গলা টিপে হত্যা করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে গোটা দেশে আন্দোলন জমাট বেঁধেছিল। এরমধ্যেই হায়দরাবাদ কাণ্ডের ৪ অভিযুক্তের পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর উন্নাওতেও এক ধর্ষণের শিকার তরুণীকে পুড়িয়ে দেয় অভিযুক্তেরা। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের ফতেপুর জেলায়। এখানে ১৮ বছরের এক তরুণীকে তাঁর কাকা বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ওই তরুণীর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, গত শনিবার বাড়িতে তখন একাই ছিলেন তাঁর মেয়ে। আর ছিল তরুণীর ২২ বছরের কাকা। তরুণীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে তাঁর কাকা। তরুণী কাকাকে সাফ জানিয়ে দেন এই ঘটনার কথা তিনি বাড়ির সকলকে জানিয়ে দেবেন। তারপরই তরুণীর মুখ বন্ধ করতে তাঁর সারা গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় অভিযুক্ত। তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়।
জ্বলতে থাকা তরুণীকে উদ্ধার করেন পড়শিরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ওই তরুণীকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে তাঁকে কানপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আপাতত ৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় জীবন মৃত্যুর মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন তরুণী। পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সুপার ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন অভিযুক্তকে পাকড়াও করে সঠিক সাজা দেওয়া হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা