গত ৯ ডিসেম্বর বেশ জাঁকজমক করেই বিয়ে হয়। বড় খরচটাই বহন করে বরের বাড়ি। ঘটক বলেছিল মেয়ের বাড়ি দরিদ্র। তাদের বিশাল খরচ করার সামর্থ্য নেই। পাত্রের পরিবার সেকথা জানার পর মেয়ের বাড়িতেও গয়না গড়াতে অর্থ দেয়। অন্যান্য বেশ কিছু খরচও বহন করে। যাতে তারা মেয়ের বিয়ে ঠিক করে দিতে পারে। তখন যদি বরের পরিবার জানত যে কী করছে! কাকে ঘরের বউ করতে চলেছে! এখন এমনই আক্ষেপ বেরিয়ে আসছে তাদের মুখ থেকে। ৯ ডিসেম্বর বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে আছে নববধূ রিয়া। স্বামী পরভীন সহ গোটা শ্বশুরবাড়ির পছন্দ ছিল তাকে। কিন্তু ১৩ তারিখেই ভেল্কি দেখায় রিয়া। তার জেরেই এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে মাথায় হাত পড়েছে পরভীনের পরিবারের।
পুলিশ জানাচ্ছে, গত ১৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়ির সকলকে খাবার পরিবেশন করে রিয়া। বাড়ির নতুন বউ খাবার পরিবেশন করছে, এর মধ্যে খারাপ কিছু নেই। কিন্তু সেটাই তো ছিল! খাবারে ওষুধ মিশিয়ে দেয় রিয়া। বাড়ির সকলে রাতে খাওয়া দাওয়ার পরই ঘুমে ঢলে পড়েন। ঘুম ভাঙে সকালে। শনিবার সকালে ঘুম থেকে গোটা পরিবার উঠেই তাদের মাথায় হাত পড়ে। রিয়া বাড়িতে নেই। বাড়ির আলমারি ভাঙা। সেখান থেকে চুরি গেছে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও ৩ লক্ষ টাকার গয়না।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কান্নার রোল পড়েছে পরভীনের পরিবারে। পরভীনের বাবা বলছেন, দরিদ্র পরিবার বলে সাহায্য করেছিলেন মেয়ের বাড়িকেও। বিয়েতেই প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। তারওপর গয়নাগাটি। সেসব নিয়ে নববধূ উধাও! তাঁর ধারণা এর পিছনে যে ঘটক এই সম্বন্ধ নিয়ে এসেছিল তার হাত রয়েছে। পুলিশ টিঙ্কু নামে ওই ঘটক ও রিয়াকে খুঁজছে। এদিকে পরভীন বলছেন, তিনি রিয়াকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। তার এমন কাণ্ডে তিনি হতবাক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর ছোটা পাড়া এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা