ঘোর শীতেও কলকাতার পারদ চড়া হলে কী হবে! কাশ্মীর, হিমাচল কিন্তু রয়েছে শীতের মেজাজেই। একটানা তুষারপাত হয়েই চলেছে। সাদা হয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। এদিকে তুষারপাতের শুরুতে পর্যটকদের মধ্যে খুশির বন্যা বইলেও এবার আস্তে আস্তে বাড়ছে বুকের ধুকপুকুনি। পরিবার নিয়ে আপাতত হোটেল বন্দি তাঁরা। রাস্তা বলেই কিছু নেই তো যাবেন কোথায়? তারসঙ্গে অনেক জায়গায় লোডশেডিং। বিদ্যুৎ নেই। যেমন খুশি খাওয়াও মিলছে না। কয়েক জায়গায় খাবার জলেরও সমস্যা শুরু হয়েছে। কাশ্মীর এবং হিমাচলের অনেক জায়গায় চিত্রটা প্রায় এক। শৈল শহর সিমলা হয়ে অনেকেই কুলু বা মানালি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এখন সিমলাতেই এত বরফ পড়েছে যে রাস্তাই পুরু বরফের তলায় হারিয়ে গেছে। ফলে সিমলা থেকেই বাড়ি ফিরতে চাইছেন তাঁরা। কারণ সিমলারই যদি এই অবস্থা তাহলে মানালি কী অবস্থায় রয়েছে তা ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেননা তাঁরা। সিমলার পারদও হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সকালে কিছুক্ষণ তুষারপাত বন্ধ হলেও আগামী কয়েকদিন তুষারপাতের হাত থেকে রেহাই পাবেনা সিমলা। রিপোর্ট বলছে, ১৯৯১ সালের পর এত বরফ সিমলায় অন্তত কখনও পড়েনি!