ঘটনাটা শোনার পর অনেকেই খুঁজতে বসেছেন কোন সিনেমায় এমন এক ক্লাইম্যাক্স তাঁরা দেখেছেন। বেশ কিছু সিনেমা তাঁদের মাথার মধ্যে ঘুরপাকও খেয়েছে। হবে নাই বা কেন! পুরো ঘটনাটাই তো ঘটে গেল সিনেমার মত। আদালতে বিচার চলাকালীন ২ অভিযুক্তকে বিচারকের সামনেই গুলি, গুলি থেকে বাঁচতে বিচারকই লুকিয়ে, এজলাসে হৈচৈ পড়ে যায়, এদিকে বদলা নেওয়ার পর পালানোর চেষ্টা না করে নিজেকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া। সবই ঘটে গেল একটা টানটান সিনেমার মত।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরে সিজেএম আদালতে বিচারক একটি খুনের মামলার বিচার করছিলেন। এজলাসে ভিড়ও ছিল। কারণ খুন হয়েছিলেন বিএসপি নেতা এহসান ও তাঁর ভাইপো শাদাব। কয়েক মাস আগে এই খুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় শাহনওয়াজ ও জব্বর নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধেই এই জোড়া খুনের অভিযোগ ছিল। শাহনওয়াজ ও জব্বরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার চলছিল। আর ঠিক সেই সময় আদালতে প্রবেশ করে মৃত এহসানের ছেলে সোহেল।
সোহেলের সঙ্গে তার ২ বন্ধুও ছিল। আদালতে প্রবেশ করেই সোহেল শাহনওয়াজ ও জব্বরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। মোট ২০ রাউন্ড গুলি চলে। শাহনওয়াজ গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এদিকে আদালত কক্ষে আতঙ্কে হৈহৈ শুরু হয়ে যায়। সেই ভিড়ে মিশে গুলিতে আহত জব্বর সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়। এদিকে গুলি চলতে শুরু করলে বিচারকও নিজেকে বাঁচাতে লুকিয়ে পড়েন। এক আদালতের কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ গোটা চত্বর ঘিরে ফেলে।
আদালত চত্বর ঘিরে ফেলা হলেও জব্বর পালাতে সক্ষম হয়। তাকে ধরতে পুলিশ চারিদিকে তল্লাশি শুরু করেছে। এদিকে বাবার খুনের বদলা নিতে আসা সোহেল ও তার সঙ্গীরা পালানোর চেষ্টা করবে বলেই নিশ্চিত ছিল পুলিশ। কিন্তু সকলকে অবাক করে পালানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে পুলিশের কাছে নিজে এগিয়ে গিয়েই আত্মসমর্পণ করে সোহেল। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আদালত কক্ষের মধ্যে এমন ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা