দিল্লিতে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে পুরোদমে। বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। পুলিশও তৎপর। কারও হাতে সিএএ বিরোধী প্ল্যাকার্ড দেখলে বা কাউকে সিএএ বিরোধী স্লোগান দিতে দেখলেই তাঁকে আটক করা হচ্ছে। দিল্লির বড় অংশে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গোটা দিল্লি জুড়ে পুলিশকর্মীদের তৎপরতা নজর কাড়ছে। এরমধ্যেই দিল্লির দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম লালকেল্লায় ঢোকা বার হওয়ার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জামা মসজিদ, লালকেল্লা, চাঁদনি চক চত্বর জুড়েই পুলিশে ছেয়ে গেছে। এই এলাকার প্রতিটি রাস্তাতেই ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। যাতে কেউ ঢুকে পড়তে না পারেন। একটি সরু লাইন করিয়ে এখানকার স্থানীয় লোকজনকে ছাড়া হচ্ছে এক এক করে। তবে তার আগে তাঁকে পুরো পরীক্ষা করা হচ্ছে। রীতিমত পুলিশি ঘেরাটোপে এই চত্বর।
বৃহস্পতিবার সিএএ-র বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও বামেরাও দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস ও বামেদের নেতা কর্মীদের আটক করে পুলিশ। অনেক নেতা কর্মী এদিন আটক হন। লালকেল্লা থেকে আটক করা হয় স্বরাজ অভিযান দলের প্রেসিডেন্ট যোগেন্দ্র যাদবকে। এছাড়া কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই প্রধান ডি রাজা সহ অনেক নেতা দিল্লির মান্ডি হাউস এলাকা থেকে আটক হন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা