লখনউ জ্বলছিল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই। জ্বালানো হয় বাস, গাড়ি, বাইক। আগুন ধরানো হয় সংবাদমাধ্যমের ওবি ভ্যানে। সাংবাদিকদের দিকে পাথর ছোঁড়া হয়। পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়া হয়। জ্বালানো হয় পুলিশ ফাঁড়ি, দমকলের গাড়ি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন এদিন পরিবর্তন চকে হিংসাত্মক চেহারা নেয়। যদিও যাঁরা প্রথমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁদের দাবি, তাঁরা কেউ এসবের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। আচমকাই মুখে রুমাল বাঁধা কিছু মানুষ জড়ো হয়ে এই হিংসাত্মক কাণ্ডকারখানা শুরু করে। এদিকে লখনউতে কাঁদানে গ্যাস, লাঠি চার্জের পর গুলিও চলে। গুলিতে মৃত্যু হয় ১ জনের।
কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুতেও এদিন বিশাল সংখ্যক মানুষ একত্র হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। এখানে ডেপুটি কমিশনারের অফিসের কাছে বিক্ষোভকারীদের কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েও নিরস্ত করতে না পেরে অবশেষে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা। ৪৯ ও ২৩ বছর বয়সী ২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ২০ জন। পুলিশেরও ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। মেঙ্গালুরুতে ইন্টারনেট পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে।
সারা দেশ জুড়েই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আরও বিশাল আকারে শুরু হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ। বিভিন্ন বিরোধী দল পথে নামে। মিছিল, মিটিং করে প্রতিবাদ জানায়। গ্রেফতার হন অনেকে। ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ-র মত মানুষ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে পুলিশি হেনস্থার শিকার হন। এদিন দিল্লি, লখনউ, বেঙ্গালুরু, মেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। কলকাতাতেও একের পর এক বিক্ষোভ মিছিল বার হয়। এদিন দেশে জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা