একে কনকনে ঠান্ডা। তারমধ্যে শুক্রবার বিকেলে দিল্লি সহ উত্তর ভারতের বড় অংশ কেঁপে উঠেছে ভূমিকম্পে। তাও নেহাত কম মাত্রার কম্পন নয়। জোড়াল কম্পন দিল্লিবাসীর মধ্যে আতঙ্কের জন্ম দেয়। অনেকেই রাস্তা বার হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন। যদি আফটার শক হয়! এই অবস্থায় নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদে দিল্লির জামা মসজিদে শুক্রবার সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সন্ধেয় একটি বিশাল মিছিল বার হয় জামা মসজিদ এলাকা থেকে। যদিও দিল্লি পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় এই মিছিলের অনুমতি নেই। তাই একে এগোতে দেওয়া হবে না।
সন্ধের দিল্লিতে মিছিল কিন্তু এগোতেই থাকে। ফলে একসময়ে দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান বর্ষণ শুরু করে। কনকনে ঠান্ডা দিল্লিতে তোড়ে জল এসে গায়ে লাগতেই ভেজা গরম পোশাকে ভিড় উল্টোদিকে ছোটা শুরু করে। চারিদিকে ছোটাছুটি শুরু হয়। এই অবস্থায় পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এক এক করে আটক করা হয় বিক্ষোভকারীদের।
অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে এরমধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে শুরু হয় অগ্নিসংযোগ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গাড়ি। আগুনের লেলিহান শিখায় নিয়ন্ত্রণ পেতে পুলিশই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চলতে থাকে প্রবল লাঠিচার্জ। হুলস্থূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনেক বিক্ষোভকারী গলিঘুঁজিতে ঢুকে সেখান থেকে পাথর ছুঁড়তে থাকেন। পুলিশ তাঁদের বেশ কয়েকজনকে তাড়া করে আটক করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা