২০০৮ সাল। জয়পুরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে হৈচৈ পড়ে যায়। মৃত্যু হয় ৭১ জনের। আহত হন ১৮৫ জন। ১৩ মে ২০০৮ সালে গোলাপি শহরের ৮টি জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। আতঙ্ক চরম আকার নেয় শহরে। সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ। তাদের মধ্যে ৫ জন জয়পুরের জেলে বন্দি রয়েছে। ৩ জন হায়দরাবাদের জেলে ও ৩ জন দিল্লির জেলে বন্দি। ২ জন এখনও নিখোঁজ। বাকি ২ জন বাটলা হাউস এনকাউন্টারে প্রাণ হারায়।
জয়পুরের জেলে বন্দি ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে শুক্রবার মৃত্যুদণ্ড দিল জয়পুরের বিশেষ আদালত। বাকি ১ জনকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিয়েছে আদালত। গত বুধবারই ৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। শুক্রবার ছিল সাজা ঘোষণা। তার আগে দোষী ৪ জনকে আদালতে আনার পর তাদের হাতের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। তাদের সাজা ঘোষণা হওয়ার আগেই দোষী ৪ জনকে আদালতে হাসাহাসি করতেও দেখা যায়।
জয়পুরের চাঁদপল ঘাট, বড়ি চৌপাড, ত্রিপয়া বাজার, জহুরি বাজার ও সঙ্গনেরি গেট মিলিয়ে ৫ জায়গায় মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ৮টি জোড়াল বিস্ফোরণ হয়। ভিড়ে ঠাসা এলাকায় মুহুর্তে শ্মশানের নীরবতা নেমে আসে। মানুষ আর্তনাদ করতে থাকেন। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে পোড়া গন্ধ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মানুষে দেহ। আহতদের আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে আসে। সেই ঘটনায় অবশেষে ৪ অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা