স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। শুক্রবার সন্ধেয় ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে মাঝপথেই তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি জনমানবহীন ফাঁকা জায়গায়। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে তারা।
গভীর রাত পর্যন্ত চলে পাশবিক অত্যাচার। তারপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায় একটি কবরখানার সামনে। সেখান থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এখনও তার অবস্থা সংকটজনক।
ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার সোনামুড়া শহরে। সেখানেই একটি স্কুলে পড়ে ওই কিশোরী। বাড়ি ফেরার সময় তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর শহরের বাইরে ঠাকুরমুরা নামে একটি এলাকায় কবরখানার পাশে কিশোরীকে ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। শনিবার সকাল থেকেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে কিছু সময়ের মধ্যেই ১ অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে তারা।
ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিরা কোথায় তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিশোরীর বাবা পেশায় দিনমজুর। তিনি মেয়ের অপরাধীদের কড়া শাস্তি চেয়েছেন। দেশজুড়ে যেখানে ধর্ষণের মত ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার হচ্ছেন। অপরাধীদের চরম শাস্তি চাইছেন।
বিজেপির এক বহিষ্কৃত বিধায়কও ধর্ষণের অভিযোগে আজীবন কারাবাসের সাজা পেয়েছে। তবু এমন ঘটনায় কিন্তু এখনও রাশ টানা সম্ভব হচ্ছেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা