একমাস হয়ে গেল তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের খোঁজ চলছিল। পুলিশও তাঁদের খোঁজ পাচ্ছিল না। অবশেষে পাওয়া গেল তাঁদের। তবে মৃত অবস্থায়। একটি জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় প্রেমিক প্রেমিকার দেহ। মৃত্যু তাঁদের ভালবাসাকে সম্পূর্ণ হতে দিল না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এটা বোঝার চেষ্টা হচ্ছে এই মৃত্যু আত্মহত্যা, নাকি পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে তাঁদের হত্যা করেছে তাঁদের পরিবারের লোকজনই।
৩০ বছরের মহীপাল সিং ভালবেসেছিল ২৫ বছরের রীতুকে। তাঁদের ভালবাসা যতই গভীর হয়েছে ততই তাঁদের ভালবাসার ওপর নেমে এসেছে পরিবারের অসম্মতি। কঠোর অবস্থান নেয় তাঁদের পরিবার। ফলে দুজনেই বুঝতে পারেন তাঁদের ভালবাসা বিয়েতে পূর্ণতা পাবেনা। অন্তত পরিবারের সম্মতিক্রমে তো ননই। তারপরই একদিন দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
তাঁদের খোঁজ শুরু হয়। পুলিশও তন্নতন্ন করে তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছিল। অবশেষে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের সীমান্তে বিজনৌর জেলার চিড়িয়াপুর গ্রামের কাছে এক গহন অরণ্যে তাঁদের খোঁজ মেলে। ২টি দেহের অবস্থা দেখে পুলিশের অনুমান তাঁদের দিন ১৫ আগেই মৃত্যু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পড়ে থাকা দেহ ওখানে এল কীভাবে তা নিয়ে ভাবছে পুলিশ। তবে কী দুজনে আত্মহত্যা করেই নিজেদের ভালবাসাকে অমর করার চেষ্টা করলেন। নাকি তাঁদের ২ পরিবারই তাঁদের নিয়ে গিয়ে হত্যা করল। পুলিশ খুঁজে দেখছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা