২টি ভ্যান বোঝাই করে জিনিসপত্র। সবই নাকি ঐশ্বর্য রাইয়ের। সেসব জিনিস আর তাঁর বাড়িতে তিনি রাখবেন না। তাই সব জিনিস ২টি ভ্যানে করে ঐশ্বর্যর বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিলেন শাশুড়ি রাবড়ি দেবী। যদিও তা ফেরত নিতে অস্বীকার করেন ঐশ্বর্যর বাবা চন্দ্রিকা রাই। আরজেডি বিধায়ক সাফ জানান তিনি জানেন না ওই ভ্যানে ঠিক কী আছে। সেখানে আপত্তিকর কিছুও থাকতে পারে। পাঠানোর আগে তাঁদের সব জানানো উচিত ছিল। তিনি ভ্যানে ভরা সব জিনিস ফের রাবড়ি দেবীর কাছেই পাঠিয়ে দেন। শুধু ফেরত পাঠানোই নয়, এভাবে ২টি ভ্যান তাঁর কাছে পাঠানো নিয়ে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেন চন্দ্রিকা।
লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজ প্রতাপ যাদবরে সঙ্গে বিয়ে হয় আরজেডি নেতা চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ে ঐশ্বর্য রাইয়ের। বিয়ের পর সব ঠিকঠাক থাকলেও কিছুদিন পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়। একদিন রাতে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়েও আসেন ঐশ্বর্য। পরে তিনি তাঁর শাশুড়ি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, বড় ননদ মিসা ভারতী ও স্বামী তেজ প্রতাপের বিরুদ্ধে মারধর ও অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করেন। ফিরে আসেন বাপের বাড়িতে। তারপর থেকেই ২ পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
চন্দ্রিকা রাই যখন পুলিশের কাছে ওই ২ ভ্যান পাঠানো নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তখন লালুপ্রসাদের বাড়ির লোকজনের দাবি অন্য। তাঁদের দাবি, ঐশ্বর্যর বাড়ি থেকেই তাঁর যাবতীয় জিনিসপত্র ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। তাই তাঁরা সবকিছু ফেরত পাঠান। যদিও চন্দ্রিকার পাল্টা দাবি, তাঁর মেয়ের জিনিসপত্র তালাবন্ধ ঘর থেকে বার করার আগে তাঁদের জানানো উচিত ছিল। তিনি তো জানেনই না যে ওই ২ ভ্যানে আদৌ কি ছিল! ২ পরিবারের এই অশান্তি কিন্তু বিহারের মানুষের কাছে মুখরোচক চর্চার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা