সাদা বরফের পুরু চাদরে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকা। সেখানে সারা বছরটাই সাদা বরফে ঢাকা থাকে। পারদ থাকে সবসময় মাইনাসে। সে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সবই। সেই অ্যান্টার্কটিকায় সোমবার যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে তার চেয়েও নিচে নেমে গেল ভারতের দ্রাস এলাকার পারদ। এদিন অ্যান্টার্কটিকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ২৬ ডিগ্রি। আর সেখানে দ্রাসে সর্বনিম্ন পারদ রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ২৮.৮ ডিগ্রি। অ্যান্টার্কটিকায় মানুষ বসবাস করেনা। প্রবল ঠান্ডার কারণে। কিন্তু দ্রাসে তো করে। সেখানে এমন পারদ পতনে স্তব্ধ জনজীবন। দ্রাসের চারিদিকে এখন শুধুই বরফ আর বরফ। প্রায় একই পরিস্থিতি কার্গিলেরও।
কাশ্মীরের পহেলগামে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মাইনাস ১০.২ ডিগ্রি। গুলমার্গে মাইনাস ৭.৮ ডিগ্রি। অন্যদিকে শ্রীনগরে মরসুমের শীতলতম দিন সোমবার। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঠেকেছে মাইনাস ৬.৫ ডিগ্রিতে। ফলে গোটা উপত্যকাই স্তব্ধ হয়ে গেছে। মানুষ বাড়ি থেকে বার হতে পারছেন না। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। রাস্তাঘাট বরফের তলায় হারিয়ে গেছে। মানুষ যে বাজারহাট করবেন, সে উপায়ও নেই। এমনই প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেখানে।
এই ঠান্ডার মধ্যেই আবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকছে কাশ্মীর, হিমাচলে। ফলে পাহাড়ি এলাকায় আরও তুষারপাত হতে চলেছে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। হাওয়া অফিসও বড় একটা আশ্বাসবাণী শোনাতে পারেনি। তাদের পূর্বাভাস উপত্যকায় এমন পরিস্থিতি সামনের এক সপ্তাহের মধ্যে কাটার কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে এই চরম প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যেই এখানকার মানুষজনকে কাটাতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা