সিমলা, কুলু, মানালি। বাঙালির তো বটেই। সারা ভারতের বড় প্রিয় পর্যটন স্থল। অবশ্যই এখানকার ঠান্ডা মানুষকে টেনে নিয়ে যায়। সিমলাকে তো দেশের শৈলশহরই বলা হয়। সেই সিমলার ঠান্ডাকে হার মানাচ্ছে রাজধানী দিল্লি। দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ আগের দিন নেমেছিল ১.৭ ডিগ্রিতে। সোমবার নামল ২.২ ডিগ্রিতে। ফলে হিমাঙ্কের আশপাশে ঘুরছে ঘিঞ্জি দিল্লি। সিমলাতেও যা তাপমাত্রা, দিল্লিতেও এখন তাই। এরমধ্যে দিল্লিতে উপরি পাওনা সামনে না দেখা যাওয়া কুয়াশার দাপট। কুয়াশার দাপটে একটু সামনে কি রয়েছে তা দেখা যাচ্ছে না। ফলে যান চলাচল মুখ থুবড়ে পড়েছে। অনেক ট্রেন দেরিতে চলছে। বিঘ্নিত বিমান পরিষেবাও।
দিল্লির সঙ্গে গোটা উত্তর ভারতটাই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাঁপছে। পঞ্জাবের অমৃতসরে পারদ নেমেছে ২.৮ ডিগ্রিতে। অন্যদিকে জয়পুরে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১.৪ ডিগ্রি। যা জয়পুরে গত ৫৫ বছরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। রাজস্থানের একটা বড় অংশই ২-৩ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করছে। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অংশ ঠান্ডায় কাঁপছে। আর হিমাচল প্রদেশে যাঁরা বরফ দেখতে বা খেলতে যেতে চান তাঁদের জন্য সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা মঙ্গলবারের মধ্যেই ঢুকে পড়ছে কাশ্মীর ও হিমাচলে। তার জেরে পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত ও সমতলে বৃষ্টি হবে। হাওয়া অফিস বলছে আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই হিমাচলের একটা বড় অংশ জুড়ে তুষারপাত চলবে। যা ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চলতে থাকবে। ফলে তুষারপাত দেখা, তার আনন্দ উপভোগ করার জন্য এই সময়টা পর্যটকদের বেছে নেওয়ার আদর্শ সময়। যে সিমলায় এখন সহজে বরফ পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানেও এই সময় তুষারপাতের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া মানালি, ডালহৌসি, কল্পা, নারকান্দা ও কুফরি-তে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা