কাশ্মীরে যাঁরা বেড়াতে যান তাঁরা শ্রীনগরে যানই। আর শ্রীনগরের অন্যতম দ্রষ্টব্যের তালিকায় প্রথমেই যদি কিছুর নাম থাকে তবে তা ডাল লেক। সিনেমা তো আছেই, তাছাড়া যাঁরা ঘুরে এসেছেন তাঁরাও গল্প বলে থাকেন ডাল লেকের। সেখানকার শিকারার। এমনকি গল্প, উপন্যাসেও ডাল লেকের উল্লেখ মেলে। ফলে শ্রীনগরের এই জলভাগটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের বিষয়। ডাল লেকের ওপর শিকারায় ভেসে পড়া, জলে ভেসে বেড়ানো এক স্বর্গীয় অনুভূতি। এক মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এই দিঘিটি এখন প্রবল ঠান্ডায় জমে গিয়েছে।
পুরু বরফের চাদরে ডাল লেকের উপরের অংশ ঢাকা পড়েছে। দুধের ওপর মোটা সরের মত ডাল লেকের ওপর মোটা বরফের চাদর। শ্রীনগর বেশ কিছুদিন ধরেই মাইনাসে রয়েছে। সোমবার ছিল তারমধ্যে সর্বনিম্ন। পারদ ছুঁয়েছিল ৬.৫ ডিগ্রি। হিমাঙ্কের এতটা নিচে থাকা পারদে ডাল লেকের জল যে বরফ হবে তা আর নতুন কী! প্রতি বছরই এই দৃশ্য নজর কাড়ে।
ডাল লেকের ওপর যেভাবে বরফ পুরু হয়ে রয়েছে তাতে জলের ওপর কিছুটা হেঁটেও ঘুরে আসা যেতে পারে। যাঁরা ডাল লেকে নৌকা চালান তাঁরা এখন কঠিন প্রচেষ্টায় বরফ কেটে নৌকা নিয়ে এগোচ্ছেন। বড় বড় চাঙড়ের মত বরফকে কেটে হাতে তুলে নিচ্ছেন তাঁরা। এমনই পরিস্থিতি ডাল লেকের। চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন। শ্রীনগরের জনজীবন প্রবল ঠান্ডায় অনেকটাই থমকে গেছে। পরিস্থিতি এমন থাকলে ডাল লেকও যে বরফ হয়ে থাকবে তা আর কাউকে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা