২০১৯ সালের শেষে পৌঁছেও এবার শীতের দাপট নতুন নতুন রেকর্ড গড়েই চলেছে। অস্বাভাবিকভাবে পড়ে যাচ্ছে শহরগুলোর পারদও। দিল্লি দিয়ে শুরু হয়েছিল চর্চা। যেখানে ১.৭ ডিগ্রিতেও পৌঁছে যায় পারদ। মধ্যপ্রদেশে বরফের দেখা মিলেছে। সেখানেও পারদ প্রায় হিমাঙ্কের কাছে। বছরের শেষ দিনে নবাবদের শহর লখনউ-এর পারদ নামল অস্বাভাবিক নিচে। এদিন লখনউয়ের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ০.৭ ডিগ্রি। প্রায় শূন্য ডিগ্রির কাছে। এর আগে ১৯৭৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর লখনউয়ের পারদ নেমেছিল এতটা নিচে। সেদিন লখনউ ছিল ০.৫ ডিগ্রি।
লখনউ যেখানে প্রায় হিমাঙ্ক ছুঁয়েছে সেখানে উত্তরপ্রদেশের আর এক শহর বাহরাইচ ১০৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিল। বাহরাইচে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ০.২ ডিগ্রি। যাকে শূন্য ডিগ্রি বললেও ক্ষতি কিছু নেই। উত্তরপ্রদেশের কোনও শহরের পারদ যে এতটা পড়তে পারে তা এখানকার মানুষের স্বপ্নের অতীত। এ শহরের পারদ আজ পর্যন্ত কখনও ১.৭ ডিগ্রির নিচে নামেনি। সেখানে এবার নামল ০.২ ডিগ্রিতে! ১৯১৩ সালে শেষবার বাহরাইচে পারদ নামে ১.৭ ডিগ্রিতে।
আরও একটি শহর এদিন ঠান্ডার রেকর্ড গড়েছে। তার নাম কানপুর। কানপুর এদিন পৌঁছে যায় শূন্য ডিগ্রিতে। যেখানে কানপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এর আগে ছিল ০.৮ ডিগ্রি। যা ২০১৫ সালে নেমেছিল। তার চেয়ে নিচে কানপুরের পারদ এদিনের আগে কখনও নামেনি। বরফ ঠান্ডা হাওয়া বইছে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। শহরগুলোর যদি এমন পরিস্থিতি হয় তাহলে গ্রামগুলোর কী পরিস্থিতি তা অনুমেয়। ভয়াবহ ঠান্ডায় কাবু গোটা উত্তরপ্রদেশ। মানুষ বাড়ি থেকে বার হতে পারছেন না। কুয়াশায় সারা দিনটাই ঢাকা থাকছে। দুপুরের দিকে সামান্য রোদের চিলতে দেখা মিলছে। তাও সামান্য সময়ের জন্য। বাকিটা হাড় জমানো ঠান্ডা আর কুয়াশাতেই কাটছে জনজীবন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা