বৃহস্পতিবার সকালেই খবর আসে যে ব্যাটারি তৈরির একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। দমকলের কাছে খবর পৌঁছনো মাত্রই তারা রওনা দেয় অকুস্থলে। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। দমকলকর্মীরা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত হন। ফলে তাঁরা জানেন কেমন ধরনের আগুনকে কীভাবে কব্জা করতে হয়। দমকলকর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেন। ১৫ জন দমকলকর্মী ওই আগুন লাগা কারখানায় ঢুকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ৭টি দমকলের ইঞ্জিন ছিল ঘটনাস্থলে।
আগুন নেভানোর কাজ তখন চলছিল। সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই ওই দোতলা কারখানায় একটি তীব্র বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে বাড়ির একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ে। আর সেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে পড়েন ১৫ জন দমকলকর্মী ও ওই কারখানার ২ জন কেয়ারটেকার। অন্য দমকলকর্মীরা দ্রুত হাত লাগান ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে সকলকে বার করে আনতে।
একে একে বার করে আনা হয় সকলকে। প্রত্যেকই গুরুতর জখম হয়েছিলেন। ফলে তাঁদের বার করেই হাসপাতালে পাঠানো হতে থাকে। একদম শেষজন হিসাবে বার করা হয় দমকলকর্মী অমিত বালায়াকে। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির কাছে মুন্দকা এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ওকায়া নামে একটি ব্যাটারি সংস্থার কারখানা ছিল এটি। ভোর ৪টে নাগাদ এখানে আগুন লাগে বেসমেন্টে। তারপর ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো কারখানায়। দমকলের প্রাথমিক অনুমান কারখানায় ব্যাটারি তৈরির কাঁচামাল যথেষ্ট পরিমাণে মজুত ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণটি হয়। তবে পুরো বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখছে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা