২ বছর হল বিয়ে হয়েছে তাঁদের। স্বামী সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তাই তিনি বছরের একটা বড় সময় বাড়ির বাইরেই থাকতেন। শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী। স্বামী বজরঙ্গ ভগত গত ৩ মাস হল জম্মুতে বদলি হয়ে এসেছিলেন। গত সোমবার সেনা শিবিরেই উঁচু খাদ থেকে পড়ে যান তিনি। মৃত্যু হয় ২৯ বছরের বজরঙ্গয়ের। বজরঙ্গয়ের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধায় তদন্তও শুরু হয়। এদিকে মৃত বজরঙ্গয়ের দেহ ময়নাতদন্তের পর পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁর রাঁচির বাড়িতে।
গত ১ জানুয়ারি দেহ আসে বাড়িতে। বৃহস্পতিবার তাঁর অন্ত্যেষ্টি হওয়ার কথা। স্বামীর এই অকস্মাৎ মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না তাঁর স্ত্রী মনীতা ওঁরাও। স্বামীর দেহ এসে পৌঁছনোর পর তিনি আরও ভেঙে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে মনীতা বাড়ির কাছের একটি কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্বামীর মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরেই তাঁর এই চরম পদক্ষেপ বলে মনে করছে পুলিশ। দেহ কুয়ো থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় মানুষজনের দাবি, বিয়ের পর ২ বছর কেটে গেলেও কোনও সন্তান হয়নি মনীতার। এ নিয়ে তাঁকে নিত্যদিন গঞ্জনার শিকার হতে হত শ্বশুরবাড়িতে। বিশেষত তাঁর ননদ তাঁকে উঠতে বসতে এই নিয়ে নানা কথা শোনাতেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, স্বামীও এভাবে অকস্মাৎ চলে যাওয়ার পর নিজেকে হয়তো একদম একা বলে মনে করছিলেন মনীতা। স্বামীর মৃত্যুর ধাক্কা, একা হয়ে পড়ার যন্ত্রণা তাঁর মধ্যে থেকে বাঁচার ইচ্ছাটাই শেষ করে দিয়েছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা