গত শনিবার তাঁকে গণধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে। একজন, দুজন নয়, ৩৯ জন তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তারমধ্যে ৪ জন পরিচিত। তাদের চিনতে পেরেছেন মহিলা। বাকি ৩৫ জনের মুখ তাঁর চেনা নয়। এভাবে ৩৯ জন পুরুষ মিলে তাঁর ওপর বিভিন্ন সময়ে পাশবিক অত্যাচার চালানোর পর আর সহ্য করতে না পেরে তিনি পুলিশ স্টেশনে হাজির হন। অভিযোগ দায়ের করেন ৩৯ জনের বিরুদ্ধে।
ওই মহিলা পুলিশকে জানান, প্রথমে তাঁকে ৪ জন মিলে ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও তারা তুলে নেয়। তাঁকে জানায় ওই ভিডিও ফাঁস করে দেবে যদি তিনি অন্য পুরুষদের সঙ্গে শুতে রাজি না হন। তারপর ওই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে সব মিলিয়ে আরও ৩৫ জন পুরুষের সঙ্গে তাঁকে শুতে বাধ্য করা হয়। এই ৩৫ জন পুরুষই তাঁর চেনা নয়।
ওই মহিলা গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার কথা গ্রামে পৌঁছতেই অবশ্য গ্রামবাসীরা চটে লাল। গ্রামের সিংহভাগ মানুষ রীতিমত হাতে অস্ত্র নিয়ে হাজির হন সার্কেল অফিসারের বাড়ির সামনে। তাঁদের পাল্টা দাবি, ওই মহিলার সঙ্গে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। পুরোটাই মিথ্যা।
ওই মহিলার স্বামী আড়াই লক্ষ টাকা ৩৯ জনের কাছে ধার করেছিলেন। তাঁকে ওই টাকা ৩৯ জনকে ফেরত দিতে বলা হয়েছিল। সেজন্য ওই ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা।
পুলিশ অবশ্য গোটা ঘটনা শোনার পর গ্রামবাসীদের শান্ত করে। এসপি নিজে কথা দেন পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। ওই মহিলাকে গ্রাম থেকে বার করে দেওয়ার জন্যও গোটা গ্রাম এককাট্টা হয়ে যায়।
কিন্তু ওই মহিলা দাবি করেছেন তাঁকে ধর্ষণের ভিডিও তোলা হয়েছিল। বিষয়টি ভাবাচ্ছে পুলিশকে। সবদিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে চাইছে পুলিশ। সব প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা