গত সেপ্টেম্বর মাসে ঘটনার সূত্রপাত। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন শিখা নামে এক মহিলা। সন্তান প্রসব হয় ওই হাসপাতালে। সদ্যোজাত সুস্থ আছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। ফলে নির্দিষ্ট সময় পর সন্তান কোলে মায়ের ছুটি হওয়ার কথা। ছুটির সময় দেখা যায় হাসপাতালের বিল তখনও ৪০ হাজার টাকা মেটানো বাকি। অভিযোগ চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন ওই টাকা না মেটানো পর্যন্ত ওই সদ্যোজাতকে ফেরত পাবেন না বাবা-মা।
এই অবস্থায় সন্তানকে ছেড়ে শূন্য কোলে মাকে ফেরত যেতে হয় বাড়িতে। শিখার স্বামী মোহর সিং জানান, তাঁদের ৪০ হাজার টাকা মেটানোর মত সামর্থ্য নেই। তবু তিনি অনেক চেষ্টা করে ৩০ হাজার টাকা হাসপাতালে জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পুরো টাকা মেটানো সম্ভব হয়নি। তাই চিকিৎসকেরা এখনও তাঁর সন্তানকে মর্টগেজ হিসাবে রেখে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন মোহর সিং।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামে। পুলিশের কাছে অবশ্য একদম অন্য দাবি করেছে হাসপাতাল। তাদের দাবি, ওই সন্তানকে তারা আটকে রাখেনি। সন্তানকে তার বাবা-মাই মুজফ্ফরনগরে একজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এই অবস্থায় পুলিশের তরফে সাফ জানানো হয়েছে তারা তদন্তে যাকে দোষী পাবে তার বিরুদ্ধে শিশু বিক্রির অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা