রুপোলী পর্দার ডনকে ১১টি দেশের পুলিশ হন্নে হয়ে নাকি খুঁজছিল। কিন্তু তারা জানত না ডনকে ধরা মুশকিলই নয়, অসম্ভব। রুপোলী পর্দায় তা অসম্ভব হতে পারে। কিন্তু বাস্তব জগতে কোনও ডনই পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাবেনা। তা ফের একবার বুঝিয়ে দিল ভারতের পুলিশ। মুম্বই পুলিশের একটি দল পাটনায় হানা দিয়ে যে ডনকে পাকড়াও করেছে সেও কম কুখ্যাত নয়। কখনও ইন্দোনেশিয়ার কোনও শহর, কখনও দুবাই, কখনও ব্যাংকক, কখনও নেপালের কোথাও তো কখনও ওন্টারিও। এভাবেই বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। যাতে তার পাকাপাকি আস্তানার খোঁজ পুলিশ পেতে না পারে। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারল না ডন ইজাজ লাকদাওয়ালা।
ইজাজের উত্থান দাউদ ইব্রাহিমের হাত ধরে। দাউদের দলেই সে একটা ছোট দলকে চালনার দায়িত্বে ছিল। ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের পর দাউদের দলে ভাঙন ধরে। দাউদের দল ছেড়ে আর এক কুখ্যাত ডন ছোটা রাজনের সঙ্গে সখ্যতা হয় ইজাজের। ছোটা রাজনের হয়ে কাজ শুরু করে সে। গত ১০ বছর হল ইজাজ ছোটা রাজনের হাত ছেড়ে নিজের একটা আলাদা দল গড়েছে। তার বিরুদ্ধে ২৫টির বেশি মামলা রয়েছে। যারমধ্যে রয়েছে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, হত্যার চেষ্টা সহ নানা অভিযোগ।
ইন্টারপোল ইজাজের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করেছিল। তারপরেও তার সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ। গত ৬ মাস ধরে হন্যে হয়ে মুম্বই পুলিশ তাকে খুঁজছিল। ৬ মাস ধরে ইজাজকে ধরার চেষ্টা পুরোদমে চালু হলেও তার আগে ২০ বছর ধরেই পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছিল। অবশেষে তাকে হাতে পেল পুলিশ। পাটনায় গ্রেফতারের পর তাকে মুম্বই আনা হয়। ইজাজের মেয়েকে গ্রেফতারের পরই পুলিশ তার সন্ধান পায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা