অসুস্থ শ্বশুরকে বাঁচানোর জন্য তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। দরকার ছিল প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু এসব কোনও পথেই হাঁটেনি ৩০ বছরের মোনি। বরং সে নেয় তার পুরনো অভ্যাস।
আসলে মোনি অনেকদিন ধরেই তুকতাক করে থাকে। বাবাকে বাঁচাতে সেই রাস্তাতেই হাঁটে সে। সঙ্গে নেয় স্বামী ও ভাইকে। তারপর তার তুকতাক চরিতার্থ করতে ভুল বুঝিয়ে তার জা-কে বলির পাঁঠা বানায়। যাতে জাকে তার ভাসুর বা শাশুড়ি বাঁচাতে না পারেন সেজন্য তাঁদের একটি ঘরে বন্ধও করে রাখা হয়।
একটি ঘরে জাকে ডেকে এনে তারপর তুকতাক করে জায়ের মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ বসাতে থাকে মোনি। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকেন জা রেণু। রেণু যাতে পালাতে না পারেন সেজন্য তাঁকে ধরে রাখার কাজটি করেন মোনির স্বামী ও ভাই। কোপ মুখ ছাড়িয়ে এরপর শরীরের নানা অংশে পড়তে থাকে। ১০১টি কোপ বসান হয় তাঁর শরীরে।
অবশেষে ওই রক্তাক্ত অবস্থাতেই রেণু কোনওক্রমে মোনিদের হাত ছাড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসনে। তারপর সোজা চলে যান রাস্তায়। ছুটতে শুরু করেন। একটু গিয়েই অচেতন অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয় মানুষজনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সারা শরীর জুড়ে রেণুর ৩০০টি সেলাই পড়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে।
রেণুর স্বামীর অভিযোগক্রমে মোনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তার স্বামী ও ভাই পলাতক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তুকতাকের নামে আসলে জাকে খুন করতে চেয়েছিল মোনি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা