তার নিজের একটি দোকান রয়েছে। কিন্তু মালিকানার প্রয়োজনীয় কয়েকটি কাগজ বাড়িতে তন্নতন্ন করে খুঁজেও উদ্ধার করতে পারছিলনা সে। সেই চিন্তায় উন্মাদের মত অবস্থা হয়েছিল তার। কিছুতেই কাগজগুলো খুঁজে না পেয়ে ক্রমশ অবসাদ পেয়ে বসেছিল ভরত কুমার কেশরী-কে। অবশেষে গত শুক্রবার রাতে সে এক ভয়ংকর পদক্ষেপ করে। নিজের মা, স্ত্রী ও ৩ মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভরত কুমার।
পুলিশ জানাচ্ছে, রাতে সকলে যখন ঘুমোচ্ছিল তখন ভরত প্রথমে তার মা ৯০ বছরের সাবিত্রীদেবীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর স্ত্রী বছর ৪০-এর আশাদেবীকে হত্যা করে। এরপর এক এক করে ৩ মেয়ে ১৬ বছরের শিবানী, ১৪ বছরের সিমরন ও ১১ বছরের সোনমকে হত্যা করে। পুরো পরিবারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর ভরত উঠে যায় ছাদে। তারপর সেখান থেকে ঝাঁপ দেয়।
পুলিশ জানাচ্ছে, আত্মহত্যার চেষ্টায় ঝাঁপ দিলেও ভরত কুমারের মৃত্যু হয়নি। এমনকি চোটও সামান্যই। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দোকানের কিছু কাগজ হারানোর জেরেই অবসাদ থেকে ভরত কুমার এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, নাকি এর পিছনে অন্য কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুঙ্গেরের হাবেলি খড়গপুর এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা