ট্রাফিক আইন ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে। এটাই সারা দেশে চালু বন্দোবস্ত। টাকার অঙ্ক আলাদা হতেই পারে। তবে নিয়ম একটাই। জরিমানা গোনা। ট্রাফিক আইন ভেঙে জরিমানা দেওয়ার অভ্যাসও করে ফেলেছেন অনেকে। তাই এবার জরিমানার ধরনই বদলে ফেলল পুলিশ। পকেট খসানোর চেয়েও ভয়ংকর হয়ে দাঁড়াল সে ফতোয়া। এখন তো ট্রাফিক আইন ভাঙতেই ভয় পাচ্ছেন অনেকে। মনে করে সব নিয়ম মেনে গাড়ি বা বাইক বার করছেন রাস্তায়। ভুল হলেই তো খাতা পেন নিয়ে বসতে হবে!
মধ্যপ্রদেশ পুলিশ এখন ট্রাফিক আইন ভাঙলে টাকার অঙ্কে জরিমানা বন্ধ করে দিয়েছে। সে জায়গায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে নামতে বলা হচ্ছে। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাগজ পেন। আর লিখে ফেলতে বলা হচ্ছে একটি রচনা। কেন আইন ভঙ্গ করলেন তার কারণ দর্শে রচনা। ন্যূনতম ১০০ শব্দ থাকতেই হবে সেই রচনায়। তবেই সে যাত্রায় মুক্তি। রীতিমত পড়াশোনার ক্লাস! স্কুল ছাড়ার পর রচনা লেখার অভ্যাসে ইতি পড়েছে অনেকেরই। ফলে তাঁরা মনে করছেন এভাবে ক্লাসের বাধ্য ছাত্র হয়ে পড়াশোনা করার চেয়ে ভাল বরং একটু সতর্ক থেকে ট্রাফিক আইন না ভাঙার চেষ্টা করা।
এই নিয়ম কিন্তু রীতিমত আতঙ্ক ধরিয়েছে অনেকের মনে। আর এখানেই সফল পুলিশ। কমতে শুরু করেছে ট্রাফিক আইন ভাঙা। এই নিয়ে ইন্টারনেটেও হাসিঠাট্টার শেষ নেই। জোকস থেকে মিম, কিছু বাদ যাচ্ছেনা। অনেকে তো মজা করে বলছেন এবার থেকে গাড়ি নিয়ে বার হলে পকেটে লুকিয়ে রচনার চোতা নিয়ে যাচ্ছেন লোকজন। যাতে পাকড়াও হলে লুকিয়ে টুকে দিতে পারেন। একজন তো ট্যুইটারে লিখেছেন, ১০০ শব্দটা বড়ই কম। নিয়ম হোক কমপক্ষে ১ হাজার শব্দ লিখতে হবে। আর কাগজ পেন বাড়ি থেকে আনতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা