বেকারদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব থাকে। কাজের অভাবে মানসিক দিক থেকে অবসাদে ভোগেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রে বেকারত্বের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথও বেছে নেন। একজন বেকার আত্মহত্যা করলে তাই একটা কোথাও যুক্তির অবকাশ থেকে যায়। কিন্তু খতিয়ান চমকে দিচ্ছে সকলকে। খতিয়ান বলছে বেকারদের চেয়ে বেশি আত্মহত্যা প্রবণ স্বনিযুক্ত মানুষজন। চমকে যাওয়ার মত তথ্য হলেও এটাই সত্যি। খতিয়ান বলছে প্রত্যেক দিন যত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে তারমধ্যে অনুপাতে পিছিয়ে বেকাররা। এগিয়ে স্বনিযুক্ত মানুষজন।
খতিয়ান কী বলছে? খতিয়ান বলছে ভারতে দৈনিক ৩৫ জন বেকার আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। অন্যদিকে যাঁরা স্বনিযুক্ত, যাঁরা নিজেরা ব্যবসা করে নিজেদের ভরণপোষণ ও পরিবারের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করছেন তাঁদের আত্মহত্যার প্রবণতা দিনে ৩৬ জন। আর্থিক অবস্থার সমস্যা তাঁদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ব্যবসা চালাতে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়ছেন তাঁরা। মাথার ওপর ঋণের বোঝা বাড়ছে। কিন্তু ব্যবসা চালিয়ে সেই ঋণ শোধ করার মত রাস্তা তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না। ফলে আত্মহত্যার পথ অনেকে বেছে নিচ্ছেন।
সে কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে স্বনিযুক্তি প্রকল্পের জন্য একগুচ্ছ ঋণের বন্দোবস্ত রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আর্থিক দুরবস্থা স্বনিযুক্ত মানুষজনকে অবসাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ২০১৯ সাল বলেই নয়, ২০১৮ সালেও ছবিটা একই ছিল। ২০১৮ সালেও বেকারদের তুলনায় এক বছরে স্বনিযুক্ত মানুষের আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি।
আত্মহত্যা পাপ। জীবনে লড়াই করার মানসিকতা অনেক বেশি প্রয়োজন। এই তত্ত্বের পাশাপাশি অনেক স্বনিযুক্ত মানুষই কিন্তু অবসাদে ভুগছেন। ব্যবসার মন্দা তাঁদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। যা ক্রমশ বেকারদের তুলনায় তাঁদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা