কখনও হস্টেলের আবাসিক কোনও ছাত্র। তো কখনও ওই হস্টেলেরই কর্মী। দিনের পর দিন তাকে এদের যৌন লালসার শিকার হতে হয়েছে। পুরুষ সমকামিতার শিকার হতে হয়েছে। যা ক্রমশ অসহ্য হয়ে উঠছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রটির কাছে। ডায়েরির পাতায় সব কষ্টের কথা লিখত সে। লিখত কী বিভীষিকাময় সময় কাটাতে হয় তাকে। কিন্তু এভাবে কতদিন? কতদিন ধরে ১৪ জনের যৌন লালসার শিকার হতে হবে তাকে? হয়তো সে প্রশ্নের উত্তর না পেয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ১৮ বছরের ওই ছাত্র।
হস্টেলের ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি ডায়েরি। যে ডায়েরি পড়েই পুলিশের কাছে পরিস্কার হয়েছে ওই তরুণের আত্মহত্যার কারণ। ডায়েরিতে লেখা নাম থেকে সব পরিস্কার হয়ে গেছে তাদের কাছে। সেইমত ১৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যারমধ্যে ৩ জন হস্টেলের কর্মীও রয়েছে। বাকিরা ছাত্র।
গত ১৮ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলার মারাই পাঠান গ্রামের একটি হস্টেলে। পুলিশ তদন্ত শুরুর পর ১৪ জনের নাম পায়। তারপরই ওই ছাত্রের সঙ্গে পায়ুকামের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আদালত ধৃতদের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পকসো আইনে মামলা শুরু হয়েছে এদের বিরুদ্ধে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা