স্কুলে ক্লাস সবে শেষ হয়েছে। কিছু গ্লাস বার করা হয়েছিল স্কুলের আলমারি থেকে। স্কুল বন্ধ হওয়ার আগে সেসব গ্লাস আলমারিতে ফের তোলা দরকার। এক শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী পায়েলকে ডেকে পাঠান। তারপর তাকে বলেন গ্লাসগুলো সে যেন আলমারিতে ঠিক করে তুলে রাখে। পায়েল শিক্ষকের আদেশ পালন করতে আলমারির কাছে পৌঁছয়।
কাঠের আলমারির দরজাটা সহজে খুলতে না পেরে পায়েল দরজাটা ধরে টান দেয়। আর ঠিক তখনই গোটা আলমারি উল্টে পড়ে তার ওপর। ৭ বছরের ওই বালিকা মেঝেতে পড়ে আলমারির তলায় চলে যায়। আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁরাই আলমারি সরিয়ে পায়েলের রক্তাক্ত দেহ বার করে আনেন। ধুয়ে দেওয়া হয় রক্ত।
দ্রুত খবর যায় অভিভাবকদের কাছে। পরে পায়েলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্কুলেই আটকে রাখা হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগর জেলার সালাউদ্দিনপুর গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা