National

ধুমধাম করে বিয়ে হল থানায়, নিমন্ত্রণ পেলেন প্রতিবেশিরা

এ যেন এক রূপকথার গল্প। শেষ লাইনটা যেন তারপর তারা সুখে শান্তিতে ঘর করতে থাকল। কিন্তু তার আগে রূপকথা নয়। রূপকথার মত, টানটান সিনেমার মত ঘটনা ঘটল। রাহুল আর নয়না একে অপরকে ভালবাসতেন। প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে তাঁরা বিয়ের স্থির করেন। কিন্তু তাতে বাধ সাধে ২ পরিবার। অগত্যা গত বছরের জুলাই মাসে কাউকে কিছু না জানিয়েই রাহুল-নয়না কোর্ট ম্যারেজ করে নেন। কিন্তু পরিবারকে ঘুণাক্ষরেও কিছু জানাননি। বরং দুজনেই নিজের নিজের বাড়িতে থাকছিলেন আগের মতই।

গোল বাঁধে ২ মাস আগে। নয়নার পরিবার তাঁর বিয়ের ঠিক করে অন্য এক যুবকের সঙ্গে। মাথায় হাত পড়ে দুজনেরই। এদিকে তাঁদের সম্পর্ক পরিবার কিছুতেই মানবে না। অগত্যা দুজনেই বাড়ি থেকে পালান। নয়নার পরিবার থেকে এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে দুজনকেই খুঁজতে শুরু করে। রাহুল-নয়নাও সকলের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে থাকেন। এই লুকোচুরি খেলা অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।


পুলিশ অবশেষে তাঁদের পাকড়াও করে। নিয়ে আসা হয় থানায়। থানায় আনার পর পুলিশকে তাঁদের সব কথা খুলে বলেন রাহুল ও নয়না। সব কথা জানার পর পুলিশ ২ পরিবারকেই থানায় ডেকে পাঠায়। তারপর তাঁদের বসিয়ে বোঝায় রাহুল-নয়নার বিয়ে মেনে নিতে। পুলিশের অনেক বোঝানোর পর ২ পরিবার রাহুল ও নয়নার বিয়েতে সম্মতি দেয়। তবে নিমরাজি হয়ে।

সময় নষ্ট না করে এরপর কানপুরের জুহি থানার পুলিশ থানাতেই পুরোহিত ডেকে আনে। থানা চত্বরের মন্দিরে আনুষ্ঠানিক বিয়ে হয় দুজনের। নিমন্ত্রিতের সংখ্যাও নেহাত কম ছিলনা। থানা তখন বিবাহ বাসরে পরিণত হয়েছে। পুলিশের তরফেই পাড়া প্রতিবেশিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁরা এসে রাহুল নয়নাকে আশির্বাদ করেন। সঙ্গে উপহার ও মিষ্টি নিয়ে আসেন। অবশেষে পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে নয়নাকে নিয়ে ঘরে ফেরেন রাহুল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button